December 22, 2024, 10:09 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা/
কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজের ৩ মাস পর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে উদ্ধার হলো এক কলেজ ছাত্রীর মাথার খুলি, হাড়গোড়, পরীক্ষার মার্কসিট-সার্টিফিকেট। এগুলো শনিবার বিকেলে উদ্ধার হলেও পরিচয় মিলেছে রবিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান কলেজ ছাত্রীর নাম মিম খানম (১৮)। সে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে ও আমলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানায় শনিবার বিকেলে দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের কওমী মাদ্রাসার পিছনে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাথার খুলি ও হাড়গোড় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় ¯’ানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনা¯’ল থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কঙ্কালের খুলি, হাড়সহ বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় একটি ভ্যানিটি ব্যাগ, বোরকাাসহ কিছু কাপড়। রবিবার দেওে এসব বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অংশ পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। একই সাথে চলতে থাকে পুলিশের তৎপরতা।
ওসি খালেক জানান কয়েক মাস আগে মিমকে হত্যা করে তার মরদেহ ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে আবর্জনার মধ্যে পুতে ফেলে হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়ার মিরপুর পুলিশ একটি জিডির সুত্র ধরে পুলিশ মিমের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। রোববার বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানায় এসে উদ্ধার হওয়া ভ্যানিটি ব্যাগ, কাপড়, জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কসিট দেখে কঙ্কালটি মিমের বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বাবা মধু খান ও মা সারেজান নেছা।
মিম খানমের মা সারেজান নেছা জানান, গত ২ মাস ২২ দিন আগে নানী বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সুলতানপুরে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মিম। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায় না।
ওসি জানান মিমের স্বজনদের একজন পুলিশকে জানায় মাস তিনেক আগে প্রেমের সম্পর্কের কারণে একই এলাকার একটি ছেলের সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মিম। এই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল মিম।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান ঘটনায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন উপ-পরিদর্শক কেরামত আলী। জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হ”েছ।
Leave a Reply